ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলা অনেকটা কমে আসলে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা পঞ্চম দিনেও এতটুকু কমেনি। বরং মাত্রা আরও বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার (১১ অক্টোবর) ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিও মিলার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের পাশাপাশি ইসরায়েলিদের প্রতি সংহতি জানাবেন তিনি। একই সঙ্গে ইসরায়েলের নেতাদের কাছ থেকে সরাসরি তিনি শুনতে চান কেমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাদের কী কী প্রয়োজন এবং কীভাবে সহায়তা করা যেতে পারে।
এরইমধ্যে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ঠেকাতে ইসরায়েলে বিভিন্ন ধরনের সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী প্রথম বিমানটি সম্প্রতি দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধের সময়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে দুদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড স্ট্রাইক গ্রুপও পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে গাজার লক্ষাধিক বাসিন্দা।
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। ২০০৭ সাল থেকেই গাজার আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। তাই, মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল সেখানকার বাসিন্দারা।